ঝাড়গ্রাম জেলার সকল পর্যটন কেন্দ্র

ঝাড়গ্রাম জেলা পর্যটন .....পর্যটন কেন্দ্রগুলো 
@ বিচিত্র গুপ্ত 

অফুরন্ত প্রাকৃতিক শোভা। কংসাবতী,সুবর্নরেখা, ডুলুং,তারাফেণীর মত নদী ,যারা প্রাগইতিহাসের বিবিধ পর্যায়ের সাক্ষী বহন করে চলেছে। অসংখ্য প্রাচীন প্রাচীন মন্দির , রাজবাড়ী , পাহাড়ি গুহা , জলপ্রপাত ,সরোবর এই জেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত কোনায় কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ।জেলার পরতে পরতে মিশে আছে  অসংখ্য বাদ্য যন্ত্রের দ্রিমিকি দ্রিমিকি দ্রিমি ... অসংখ্য লোক গানের সুর... লোক নৃত্যের ছন্দ ...কত রকমের ভাষা ,খাদ্য অভ্যাস , জীবন যাপন , রীতি নীতি , কৃষ্টি সংস্কৃতি , সাহিত্য ,নাটক , শিল্প কলা, বারো  মাসে তেরো পার্বণ ,উৎসব যেন এই জেলার আবহমান জীবন যাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আছে।প্রকৃত অর্থেই বলা যায় , মানব সভ্যতার বহমান ধারার সকল পর্যায়ের ধারক বাহক এই জেলার ভূ খন্ড। তবুও বর্তমানের প্রেক্ষিতে পর্যটন মানচিত্রে ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যটন কেন্দ্র কে ৬ টি সার্কেলে ভাগ করা যেতে পারে।
যেমন :-
১. ঝাড়গ্রাম সার্কেল ২. জাম্বনি সার্কেল ৩. নয়াগ্রাম - গোপীবল্লভপুর সার্কেল ৪. সাঁকরাইল সার্কেল ৫. লালগড় সার্কেল ও ৬. বেলপাহাড়ী সার্কেল 

কোন কোন সার্কেলে কোন কোন স্থানে পর্যটক হিসাবে যাওয়া যেতে পারে তার তালিকা নিম্ন রূপ :

#ঝাড়গ্রাম সার্কেল :

১. ঝাড়গ্রাম রাজ বাড়ি

২. ঝাড়গ্রাম জুওলজিকাল পার্ক

৩. সাবিত্রী মন্দির

৪. ট্রাইবাল মিউজিয়াম

৫. পুতুল মিউজিয়াম ( ঝাড়গ্রাম আর্ট একাডেমী)

৬. খোয়াব গা

৭. কৃষ গার্ডেন

৮. আমলা চটি ভেষজ উদ্যান

৯. গুপ্তমনি মন্দির

১০.লোধাশুলির শাল জঙ্গল

১১. ঝাড়গ্রাম শাল জঙ্গল

#জাম্বনি সার্কেল :

১. কনকদুর্গা মন্দির

২. চিলকিগড় রাজ বাড়ি

৩. ডুলুং নদী 

৪.কেঁদুয়া পরিযায়ী পাখি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র

#নয়াগ্রাম - গোপী সার্কেল :

১. সুবর্ণরেখা নদী

২. হাতিবাড়ি 

৩. ঝিল্লি জলাশয় ও পরিযায়ী পাখি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র

৪. তপোবন ঋষি বাল্মীকির আশ্রম

ক) মা সীতার আতুর ঘর খ) বাল্মীকি সমাধি স্থল গ) তপোবন ড্যাম ঘ) তিলক মাটির ঢিবি ঙ) সীতা নালা, মা সীতার স্নান স্থান চ) লব কুশের স্নান কুন্ড ( হলুদ ও কাজল জলের নালা) ছ) যজ্ঞ কুন্ড  জ) আর্তেজিও কূপ ঞ) তপোবন জঙ্গল

৫. রামেশ্বরম মন্দির (৭০০ বছর এর প্রাচীন) 

৬. তাম্র যুগের প্রাগৈতিহাসিক গুহা ( পাতিনা গ্রামের মাজনা নামক স্থানে )

 ৭. জঙ্গল কন্যাসেতু ( এই রাজ্যের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু) এবং সুবর্ন রেখায় নৌকো বিহার

৮. শ্রীপত গোবিন্দজির মন্দির

৯. পায়রাভারী  প্রাচীন শিব মন্দির ( গভীর জঙ্গলের মধ্যে) , কাশিয়া গ্রাম থেকে ৩ কিমি ভিতরের জঙ্গলে

১০. সহস্র লিংগ মন্দির ( সাত পৌটিয়া গ্রামে, খুব প্রাচীন)

১১. জামিরাপাল গড়বাড়ি ( জমিদার বাড়ি)

১২. চন্দ্র কেতু গড় ( রাজা চন্দ্র কেতুর রাজ প্রাসাদ) , চন্দ্ররেখা গ্রামে।

১৩. দোলগ্রাম গড় ( চদ্র কেতু রাজার আরেক টি প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ)

১৪. শালগেরিয়া চার্চ ( প্রায় দ্বি শতাধিক বছরের প্রাচীন )

১৫. ডোকরা ভারত সেবাশ্রম সংঘের মন্দির 

১৬. ৬০০ বছর প্রাচীন রাধা গোবিন্দ জিও মন্দির

১৭.কুঠিঘাট  রাম কৃষ্ণ মিশন আশ্রম মন্দির

১৮. কুঠি ঘাট প্রাচীন কালি মন্দির( সুবর্ন রেখার তীরে)

১৯. কুঠি ঘাট নীল কুঠি

২০. ডুলুং নদীর তীরে ব্রাঘেশ্বর মন্দির 

২১. বেলেবেরা রাজ বাড়ি

২২. চৌরেশ্বর শিব মন্দির 

#সাঁকরাইল সার্কেল :

১. কদপাল ইকো ট্যুরিজম ( ডুলুং ও সুবর্ন রেখার মিলন স্থান )

২. রোহিণী রাজবাড়ি

৩. কুলটিকারি পিকনিক স্পট / দুর্গাহরি জঙ্গল

৪. জয়চণ্ডী মন্দির ( বাক্রা গ্রামের কাছে)

# লালগড় সার্কেল :

১. কংসাবতি নদী

২.লালগড়  রাজবাড়ি

৩. রামগড় রাজবাড়ি

৪. রাধা গোবিন্দ জীউ মন্দির

৫. রঘুনাথ মাহাত কংসাবতি সেতু

৬. ঝিটকা জঙ্গল

৭. রামগড় কালা চাঁদ জিউ এর মন্দির, বুড়ো শিব মন্দির , শীতলা মন্দির 

৮. নেতাই এর কাছে ডাইনটিকরি’ র প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির

#বেলপাহাড়ী সার্কেল :

১. শিলদা রাজবাড়ী ও প্রাচীন শিব মন্দির

২. ওরগন্দা বাবা ভৈরব মন্দির ও মেদিনীমল্ল দেব রায় এর রাজ বাড়ি

৩. তারাফেনী নদীড্যাম

৪. ঘাগরা জল প্রপাত

৫. কেন্দাপাড়া শ্বেত পাথরের পাহাড় ( হাঁসা ডুংরি)

৬. কানাইসর পাহাড় 

৭. চাতন ডুংরি প্রাগৈতিহাসিক গুহা ( বদাডিহি)

৮. পবনপাহাড় / চিতি পাহাড় রক গার্ডেন 

৯. তুলসীবনী সরোবর / গহম বাঁধ

১০. খাদান ডুংরি রঙিন পাহাড়

১১. হুদহুদ জল প্রপাত ( ঢাঙিকুসুম)

১২. কেটকি ঝর্না

১৩. মাকুরভুলা চাতরা জল প্রপাত 

১৪. কাঁকড়াঝোর :- বাবা ভৈরব থান, কাঁকড়াঝোর জলাধার , কাঁকড়াঝর জঙ্গল , বড় পাহাড় , আমঝর্না গ্রিন ভ্যালী , তেলিঘানা ভিউ পয়েন্ট , ময়ূরঝর্না লেক ও ময়ূর ঝর্না ভিউ পয়েন্ট 

১৫. কাশমার ( চাকা ডোবা) রাম কৃষ্ণ আশ্রম

১৬. লাগাদড়ি পাথর ডাঙ্গা রক গার্ডেন

১৭. লালজল  প্রাগ ঐতিহাসিক গুহা

১৮. চাকাডোবা বেলপাহাড়ী পথের প্রাকৃতিক শোভা

১৯. খাদারাণী জলাধার

২০. গাডরাসিনি পাহাড় ও সত্যানন্দ সন্যাস আশ্রম

২১. নীলকারখানা ও নীলকুঠি ( বাসা পাড়া) 

২২. গজডুংরি সানসেট ভিউ পয়েন্ট 

ঝাড়গ্রাম জেলায় এসে কোথায় থাকবেন , কোথায় খাবেন ,কোথায় গাইড পাবেন , খরচ কত, কিভাবে প্ল্যান করবেন  ইত্যাদি ইত্যাদি আমার আগের পোস্ট গুলো থেকে পেয়ে যাবেন।

এ ছাড়া ঝাড়গ্রাম কে কেন্দ্র করে অন্যান্য যে সব জায়গা ঘুরে দেখা যেতে পারে :

কেশিয়ারি ব্লক :পশ্চিম মেদিনীপুর :- কুরুম বেরা ফর্ট, ১২০০ বছর প্রাচীন মোঘল মারি  বৌদ্ধ বিহার , দাতন শর সংখা দীঘি ( শশাঙ্ক নির্মিত) ,  খরিকা মাথা নি থেকে ১২ কমি:উড়িষ্যা রায়বনিয়া  দুর্গ , লক্ষণনাথ সুবিশাল রাজ বাড়ি (৫১৩ বছর প্রাচীন দুর্গা পুজো ) , 

অমর দা এয়ার স্ট্রিপ ,দেউলী ড্যাম ,

ঝিলিমিলি, তালবেরিয়া ড্যাম,১২ মাইল জঙ্গল , বাংরিপসি, সিমলিপাল, ঘাটশিলা ইত্যাদি ইত্যাদি )

আন্তরিক ধন্যবাদ : প্রণব মাহাত দাদা, ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিক হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন এর সকল সদস্য  কে)

© বিধান দেবনাথ / বেলপাহাড়ী

Comments

Popular posts from this blog

বেলপাহাড়ীর ঘোরার জায়গা গুলোর লিস্ট

গাড়ি ভাড়া /ঝাড়গ্রাম - বেলপাহাড়ী ট্যুর

বেলপাহাড়ীর হোম স্টে ও রিসোর্ট নাম্বার@ বিচিত্র গুপ্ত