Posts

Showing posts from 2024

ঝাড়গ্রাম জেলার জরুরি ফোন নাম্বার

Image
ঝাড়গ্রাম জেলার জরুরি ফোন নম্বর ক).জেলা পরিষদ:- জেলা পরিষদ ঝাড়গ্রাম ০৩২২১-২৫৫২২৬ খ).জেলা পুলিশ আধিকারিক:- ১.জেলা পুলিশ সুপার ০৩২২১-২৫৫১৩৩ ২.পুলিশ কন্ট্রোল রুম ০৩২২১-২৫৫২০৮ ৩.জিআরপি ০৩২২১-২৫৬৯৩১ ৪.আরপিএফ ০৩২২১-২৫৮০০৪ গ)জেলা প্রশাসনিক আধিকারিক:- ১.জেলাশাসক ০৩২২১-২৫৯৪৫৩ ২.বিডিও - ঝাড়গ্রাম ৭৭১৯৩৬৪৪২৮ ৩.বিডিও - জামবনি ৮৩৪৮৬৯১৭৫৫ ৪.বিডিও - লালগড় ৮৩৪৮৬৯১৭৫৭ ৫.বিডিও বেলপাহাড়ি ৮৩৪৮৬৯১৭৫৮ ৬.বিডিও - গোপীবল্লভপুর ৮৩৪৮৬৯১৭৫৩ ৭.বিডিও - সাঁকরাইল ৮৩৪৮৬৯১৭৫৬ ৮.বিডিও - নয়াগ্রাম ৮৩৪৮৬৯১৭৫২ ঘ)হাসপাতাল:- সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ০৩২২১-২৫৫১৪৫ ঙ)থানা:- ১.ঝাড়গ্রাম থানা ০৩২২১-২৫৫০০২ ২.মানিকপাড়া বিট হাউস ০৩২২২-২৩০২০৪ ৩.জামবনি থানা ০৩২২১-২৬৫৩২২ ৪.লালগড় থানা ০৩২২১-২৬৩৩০০ ৫.বিনপুর থানা ০৩২২১-২৬০২০২ ৬.বেলপাহাড়ি থানা ৯৭৩৪০৪০৪৮০ ৭.বেলিয়াবেড়া থানা ০৩২২১-২৬১২০২ ৮.গোপীবল্লভপুর থানা ৭৭৯৭১৭৪১৭৪ ৯.সাঁকরাইল থানা ৭৭৯৭১৭৭১৭৭ ১০.নয়াগ্রাম থানা ০৩২২৩-২৬৭২০৯ চ) ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিক্ট হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন ৯৫৪৭৬৬৮৯৬৬ ৯৮০০৬৩৫৭৬০ ছ ) বেলপাহাড়ী ট্যুরিজম এসোসিয়েশন : ৮৯৭২৯৯৯৯২৬ ৯৪৭৪৪০৫৪৬৪ ৮৯৪৫৮৭৬৭১৯

ঝাড়গ্রাম শহর এবং তার পার্শ্ববর্তী রিসোর্ট/ হোমস্টের নাম,গুগল লোকেশন ও ফোন নম্বর :

Image
ঝাড়গ্রাম শহর এবং তার পার্শ্ববর্তী রিসোর্ট/ হোম স্টের নাম,গুগল লোকেশন ও ফোন নম্বর : @ বিচিত্র গুপ্ত ঝাড়গ্রাম শহর, লোধাশুলি, চিল্কিগড় ইত্যাদি অঞ্চলে অতি পরিচিত যে সকল হোম স্টে ,রিসোর্ট , হোটেল আছে তার মধ্যে কয়েকটির ফোন নম্বর ও গুগল লোকেশন দেওয়া হলো। যারা ঝাড়গ্রাম প্রকৃতি পর্যটনে আসবেন বলে প্লান করছেন তাদের উপকারে লাগবে বলে আশা করি।গুগল ম্যাপের লিংক দেওয়া আছে ,প্রয়োজনে সেখানে গিয়ে রুম এর ছবি,রিভিউ ইত্যাদি সহজে দেখে নিতে পারবেন।প্রয়োজনে অনলাইনে বুকিং ও করতে পারেবন। হোটেল,রিসোর্ট ,হোম স্টে এর ফোন নাম্বার ও গুগল লোকেশন নিচে উল্লেখ করা হলো: ১. আরন্যক হোটেল ও রিসোর্ট  (097343 46666) :https://maps.app.goo.gl/nGKdK9WQ6yi99b428 ২.কৌশল্যা হেরিটেজ : (098306 34541) https://maps.app.goo.gl/PGQw8u4CE9puKfaAA ৩. কৃষ ভিলা হোটেল ও রিসোর্ট (086702 43183) :https://maps.app.goo.gl/HRB3tdeU8tMi7bAMA ৪. সবুজ ঠিকানা : (091238 87364) https://maps.app.goo.gl/K9HGj7PJeFix7TJL7 ৫ . ঝাড়গ্রাম প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র :(090919 14828) https://maps.app.goo.gl/wPoHyV6vJbTCwjQe8 ৬.R.K রিসোর্ট:(08...

অফবিট বেলপাহাড়ী, পর্ব ১

Image
অফবিট বেলপাহাড়ী  ( পর্ব - ১) @ বিচিত্র গুপ্ত না,আজ আর চিরপরিচিত বেলপাহাড়ীর পছন্দের ঘোরার জায়গাগুলো সম্পর্কে কিছু বলব না।আজ কিছু অরবিট ,রোমাঞ্চকর জায়গা সম্পর্কে আলোকপাত করবো।যদিও প্রকৃত অর্থে বেলপাহাড়ী অঞ্চলের প্রতিটি গ্রাম,জঙ্গল,জলাশয় অসম্ভব বর্ণনাতীত সৌন্দর্যে ভরপুর, তবুও এখানে আমার ব্যক্তিগত ভাবে ভালো লাগা কয়েকটি  জায়গা সম্পর্কে বলবো। নিজের মত ,নিজের ভালো লাগা অনুসারে এক অন্যরকম বেলপাহাড়ী উপভোগ করতে এই সব জায়গা গুলো যেতেই পারেন। ১. অদলচুয়া ভিউ পয়েন্ট: সকলের পক্ষে ট্রেক করে পাহাড়ের উপরে উঠে চারদিকের প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করা সম্ভব হয় না।  সুতরাং উপায় কি? এমন কোন ভিউ পয়েন্ট কি নেই ,যেখান থেকে ৩৬০ ডিগ্রি পাহাড় জঙ্গলের অসাধারন ভিউ দেখা যাবে ,অথচ ট্রেক করে পাহাড়ে উঠতে হবে না? হ্যাঁ আছে । বেলপাহাড়ী ইন্দিরা চক থেকে কাকড়াঝর রোডে মাত্র ৯.৩ কিমি দূরে খট্টাধরা CRPF ক্যাম্প থেকে কটুচুয়া - ঠাকুরানপাহাড়ী যাওয়ার পাকা রাস্তায় ৩০০ মিটার মত গেলেই এই ভিউ পয়েন্ট এর অবস্থান । কটুচুয়া ঠাকুরান পাহাড়ী রাস্তায় ঢুকে ১০০ মিটার গেলে রাস্তা ডান দিকে বেঁকে গেছে ।তারপর ২০০ ...

বেলপাহাড়ীর ঘোরার জায়গা গুলোর লিস্ট

Image
বেলপাহাড়ী র জনপ্রিয় পর্যটন স্থান গুলোর অবস্থান জানতে , এবং google map এ রাস্তা জানতে নিচের পছন্দের জায়গা গুলোর নামে ক্লিক করুন ,এবং অবস্থান ও পথ নির্দেশ পেয়ে যান। ১ . লাল জল প্রাচীন গুহা ২. ময়ূর ঝর্না ৩. কাকড়াঝোর ৪. কেটকী ঝর্ণা ৫. ঢাঙ্গিকুসুম ৬. রঙিন পাহাড় ৭. পবন পাহাড়/ চিতি পাহাড় ৮. চা ত ন পাহাড় ৯. লাট্টু পাহাড় ১০. পলাশ বন ১১. তুলসী বনী সরোবর ১২. গাডরাসিনী পাহাড় ১৩. খান্দারানি জলাধার ১৪. ঘাগরা জল প্রপাত ১৫. তারাফেনী ড্যাম ১৬. শ্বেত পাথরের পাহাড়/ কেন্দাপাড়া ১৭. কানাইসর পাহাড় ১৭. গজ ডুং রি ১৮. মরু তীর্থ হিংলাজ শুটিং স্থান ১৯ . নীল কারখানা / বেল পাহাড়ী ২০. দলদলি/ ঝাড়গ্রামের আমাজন

ঝাড়গ্রাম: দুর্গা পুজো ট্যুর প্ল্যান:২০২৪

Image
ঝড়গ্রাম :ট্যুর প্ল্যান :দুর্গা পূজা ২০২৪ ( ৪ রাত , ৫ দিন) @ বিচিত্র গুপ্ত চির সবুজ অরণ্যে ঘেরা দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম জেলা ঝাড়গ্রাম। শাল, মহুয়া, পলাশ, কেঁদ, ধ, চিহর, কুসুম ,পিয়াল গাছের বিচরণ ভূমি এই জেলা। জেলার পাথুরে লাল মোরাম বিছানো মাটি চিরে বয়ে গেছে সুবর্ণরেখা, কাঁসাই , ডুলুং, তারাফেনী ইত্যাদি ঐতিহাসিক নদী। অবিভক্ত মেদিনীপুরের পাহাড় ডুংরি  পরিপূর্ণ মহকুমা ঝাড়গ্রাম এখন স্বয়ং একটি জেলা। এই জেলাতেই রয়েছে দক্ষিণ বঙ্গের প্রস্তর যুগের মানব বসতির নিদর্শন বুকে অসংখ্য পাহাড়ি গুহা।রয়েছে রাজবাড়ী ,প্রাচীন স্থাপত্য , মন্দির  ।রয়েছে পাহাড়ী জলপ্রপাত । রয়েছে দুই শতাধিক প্রজাতির পাখি। বিচিত্র রকমের কীটপতঙ্গ । সজারু, অজগর , হাতি, নেকড়ে ,ময়ূর ,শিয়াল , বন মোরগ ,কাঠ বিড়ালি, প্রজাপতি , বন শুয়োর প্রভৃতি প্রাণী কুল ।রয়েছে প্রাচীন জৈন তীর্থ ক্ষেত্র। রয়েছে অসংখ্য লোক বাদ্য যন্ত্র, ঝুমুর গান; লাঙরে,ভুয়াং ,পাতা, ছৌ, নাটুয়া,পাইক প্রভৃতি লোক নৃত্য । সাঁওতাল, ভূমিজ, শবর, মহালি, কোরা , মুন্ডা প্রভৃতি জনজাতি ও তাদের সমৃদ্ধ লোক সংস্কৃতি ।জীব বৈচিত্র্য এবং ভূমিরূপ গঠনের বৈচিত্র্যও এই জ...

এক দিনে বেলপাহাড়ী ভ্রমণের গাইড // বিচিত্র গুপ্ত

Image
বেলপাহাড়ী ভ্রমণ গাইড// বিচিত্র গুপ্ত  অধুনা ঝাড়গ্রাম জেলার অন্যতম প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ ও পর্যটন কেন্দ্র বেলপাহাড়ী। সেই সঙ্গে প্রাচীন প্রস্তর যুগ থেকে বর্তমান মানব সভ্যতার বিবর্তনের বিবিধ পর্যায়ের সাক্ষ্য বহনকারীও এই বেলপাহাড়ী। ঝাড়গ্রাম হয়ে এক দিনের জন্য বেলপাহাড়ী ঘুরে যে সব পর্যটন স্থান পরিদর্শন করা সম্ভব তার একটি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ গাইড এখানে উল্লেখ করা হল,বিশেষ করে যারা প্রথম বারের জন্যে বেলপাহাড়ী আসবেন ভাবছেন তাদের জন্যে।  কোন কোন জায়গায় যাবেন:- ১. লালজল গুহা ২. ময়ূর ঝর্ণা ৩. কাঁকড়াঝোর ৪. কেটকি ঝর্ণা ৫. ঢাঙ্গিকুসুম হুদহুদী (নাম মোটেই ডুঙরি ফলস নয়) জলপ্রপাত ৬. গাররাসিনি পাহাড় ৭.খান্দারানী জলাধার ৮. তারাফেনী ড্যাম ৯. ঘাগরা জলপ্রপাত।  প্লান:-  সকাল ৯ -১০ টার মধ্যে বেলপাহাড়ী পৌঁছতে পারলে ভালো হয়। মোটামুটি সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা।এক্ষেত্রে দুই পার্টে আপনার ভ্রমণ ভাগ করে নিন।  প্রথম পার্ট লাঞ্চ এর আগে।দ্বিতীয় পার্ট লাঞ্চ এর পরে। উপরের লিস্ট থেকে ১ - ৫ নং(লালজল,ময়ূর ঝর্ণা,কাঁকড়া ঝোর, কেটকি ঝর্ণা ও হুদহুদী জলপ্রপাত) পর্যন্ত লাঞ্চ এর আগে। ৬-৯ ( গাররাসিনি, খান...

ঝাড়গ্রাম জেলার সকল পর্যটন কেন্দ্র

Image
ঝাড়গ্রাম জেলা পর্যটন .....পর্যটন কেন্দ্রগুলো  @ বিচিত্র গুপ্ত  অফুরন্ত প্রাকৃতিক শোভা। কংসাবতী,সুবর্নরেখা, ডুলুং,তারাফেণীর মত নদী ,যারা প্রাগইতিহাসের বিবিধ পর্যায়ের সাক্ষী বহন করে চলেছে। অসংখ্য প্রাচীন প্রাচীন মন্দির , রাজবাড়ী , পাহাড়ি গুহা , জলপ্রপাত ,সরোবর এই জেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত কোনায় কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ।জেলার পরতে পরতে মিশে আছে  অসংখ্য বাদ্য যন্ত্রের দ্রিমিকি দ্রিমিকি দ্রিমি ... অসংখ্য লোক গানের সুর... লোক নৃত্যের ছন্দ ...কত রকমের ভাষা ,খাদ্য অভ্যাস , জীবন যাপন , রীতি নীতি , কৃষ্টি সংস্কৃতি , সাহিত্য ,নাটক , শিল্প কলা, বারো  মাসে তেরো পার্বণ ,উৎসব যেন এই জেলার আবহমান জীবন যাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আছে।প্রকৃত অর্থেই বলা যায় , মানব সভ্যতার বহমান ধারার সকল পর্যায়ের ধারক বাহক এই জেলার ভূ খন্ড। তবুও বর্তমানের প্রেক্ষিতে পর্যটন মানচিত্রে ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যটন কেন্দ্র কে ৬ টি সার্কেলে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন :- ১. ঝাড়গ্রাম সার্কেল ২. জাম্বনি সার্কেল ৩. নয়াগ্রাম - গোপীবল্লভপুর সার্কেল ৪. সাঁকরাইল সার্কেল ৫. লালগড় সার্কেল ও ৬. বেলপ...

পাহাড় পুজো : কানাইসর / বিচিত্র গুপ্ত

Image
পাহাড় পুজো : কানাইসর @ বিচিত্র গুপ্ত স্থানীয় সঙ্গীত,সাহিত্য,কৃষ্টি,সংস্কৃতি ,আবেগ ,অনুভূতি ,উন্মাদনা ,ভালোবাসা ,প্রেম তথা ঐতিহ্য ও বংশানুক্রমিক পরম্পরা হিসাবে প্রকৃতি পুজোর যে বিশ্বজনীন ইতিহাস বহমান, তা এই অঞ্চলের মানুষের কাছেও অনুসৃত হয়ে আসছে স্মরণাতীত  কাল ধরে, পাহাড় পুজো তারমধ্যে  অন্যতম। এই  পরম্পরা অনুসরন করেই,প্রতি বছর আষাঢ় মাসের তৃতীয় শনিবার, ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর দুই নম্বর সমষ্টি উন্নয়ন অঞ্চলের অন্তর্গত সন্দাপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের অধীনে, পশ্চিমবঙ্গ  ও ঝাড়খন্ড রাজ্যের  মধ্যবর্তী সীমানায় অবস্থিত, কানাইসর পাহাড়কে কেন্দ্র করে যে প্রকৃতি পুজোর আয়োজন  হয়, সেটাই কানাইসর পাহাড় পুজো নামে পরিচিত। কেউ কেউ বলেন কানাইশর/ কানাইশহর পাহাড় পুজো।।  ভারত বর্ষের পাঁচ রাজ্য যথা পশ্চিম বঙ্গ, ঝাড়খন্ড , বিহার, ছত্রিশগড় ও উড়িষ্যা জুড়ে বিস্তৃত ছোট নাগপুর নামক যে মহাদেশীয় মালভূমি অবস্থান করছে, তারই অন্তর্গত একটি নাতিউচ্চ পাহাড় এই কানাইশর। সমুদ্র পৃষ্ট থেকে এর উচ্চতা আনুমানিক ৩০০ মিটার থেকে ৩৩০ মিটার অর্থাৎ ৯৮৫ ফুট থেকে ১০৮৩ ফুট।মূলত গ্রানাইট , নিস, হ...

হুদহুদি নামের জলপ্রপাত, বেলপাহাড়ী @ বিচিত্র গুপ্ত

Image
হুদহুদি নামের জলপ্রপাত, বেলপাহাড়ী @ বিচিত্র গুপ্ত বর্ষারজল  পাহাড় উপত্যকার ঢাল বেয়ে নেমে সরু সরু জলপ্রবাহের সৃষ্টি করে , এবং সেই জল দ্রুত অপেক্ষাকৃত ঢালু জায়গা দিয়ে ' হদ হদিয়ে ' নিচে নেমে যায়। লোকাল শব্দ ' হদহদি বা হুদহুদি ' এর অর্থ  যেভাবে জল সশব্দে হুড়মুড়িয়ে প্রবল বেগে নিচের দিকে নেমে যায় ।বেলপাহাড়ীর ঢাঙিকুসুম গ্রামে  '  বড় পাহাড়ের ' পাদদেশের জঙ্গলের মধ্যে  ' আমলাশোল ও ঢাঙিকুসুম ' মৌজার মধ্যবর্তী   স্থানে পাথরের বুক চিরে যে জলপ্রপাত তার নাম হয়েছে ' হুদহুদি/ হদহদি ' জলপ্রপাত। জঙ্গল ঘেরা ডুংরি ( জন মানব শূন্য ছোট্ট পাহাড় কে এই নামেই স্থানীয় মানুষজন অবিহিত করে ) এর মাঝে এই জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকে এটাকে ' ডুংরি ' জলপ্রপাত নামেও ডেকে থাকে। ২০১৮ সালের আগে পর্যন্ত এই স্থানটি ঝাড়গ্রাম পর্যটন মানচিত্রে ব্রাত্য থেকে গেছিলো।  তবে  শিমুলপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢাঙিকুসুম গ্রাম ' পাথর শিল্পী দের গ্রাম 'নামে বেশ পরিচিত ছিলো। পর্যটক দের আগমনে মৃতপ্রায় পাথর শিল্প পুনরায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।বর্তমানে এই গ্রামে আগত পর্যটক...

ঘাগরা // বিচিত্র গুপ্ত

ঘাগরা / বিচিত্র গুপ্ত স্থানীয় শব্দ ' গাগরি/ গাগর ' থেকে ' ঘাগরা ' শব্দটি এসেছে। গাগর/গাগরি শব্দের অর্থ কলসি বা ঘড়া। বেলপাহাড়ীতে ঘাগরা নামের যে অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন স্থানটি রয়েছে,সেটি মূলত প্রাগৈতিহাসিক নদী তারাফেনীর বুকে অবস্থিত। তারাফেণী নদীর প্রবল জল স্রোতের ঘূর্ণিতে বিস্তীর্ণ পাথুরে ভূ- খন্ড ক্ষয়ে ক্ষয়ে কলসির আকারের ভূমিরূপ তৈরি করেছে। নদীর গতিপথের উচ্চ প্রবাহে তৈরি যে ভূমিরূপ আসলে Pot Hol বা মন্থ কূপ নামে পরিচিত , এই ঘাগরার ভূমিরূপ ঠিক তাই। এখানে গভীর শাল গাছের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে নদী ইংরেজি S এর আকার নিয়েছে। পাথরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতে গিয়ে বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে তৈরি হয়েছে একটি অতি সুন্দর নাতি উচ্চ জলপ্রপাতের। বর্ষা কিংবা বর্ষা পরবর্তী কয়েক মাস এর রূপ সর্বোত্তম জায়গায় পৌঁছয়। ব্রিটিশ ভারতে এই মনোরম স্থানটি বেলপাহাড়ী র নীলকর সাহেবদের অবসর কাটানোর এবং বহিরাগত বিদেশি বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে বনভোজন করার জায়গা । আজ থেকে প্রায় ১৪০ বছর আগে এখানকার নীলকুঠির নীলকর সাহেব ফ্রেডরিক রাইজ বারোজ বর্ষা শেষ হলে ঘোড়ায় চেপে শাল জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে বড়শোল - জাম...