বেলপাহাড়ী পর্যটন BELPAHARI TOURISM

নিচের লেখায় ক্লিক করুন এখানে ক্লিক করুন

বেল পাহাড়ী ট্যুর গাইড ভিডিও ১ // let's go with soumalya নিচের লিংক ক্লিক করুন tour guide link

লালজল গুহার ভিডিও দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন এটাই ক্লিক করুন

বেলপাহাড়ী // কলহন চাতন পাহাড় ডাকছে আমায়  ডাকছে লকাইসিনি  মনের কোণায় আছেই সদাই  সাধের গাড়রাসিনি পবন পাহাড় সরসে বাসায় আদিম গুহার ঘর  দেখতে গেলেই খাড়াই পাহাড়  যাবেই কানাইশর হাসছে বিকেল কেন্দা পাড়ায়  শুভ্র হাসাডুংরি  চেড়াঙ পাহাড় চিতিয়ে পাঁজর  বাজায় যেন ঠুংরি লাট্টু পাহাড় মাথায় ছেদন  লোয়াদা যাবার পথে  মনের মতন বন্ধু বানাও লালজলেরই সাথে এদিক ওদিক যেদিক তাকাও  ললিত পাহাড় সারি  তোমার আমার সবার প্রিয়  নাম সে বেলপাহাড়ী ।

|| ৩ রাত ৪ দিনের নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, সিমলীপাল, বাংরিপোষী ও ঝাড়গ্রাম ভ্রমণ || ❤️ প্রথম দিন :- সকাল ৮.৩০ এ ট্রেনে খড়্গপুর। খড়্গপুর থেকে সাইট সিইং শুরু... ১. মোঘল আমলের তৈরী কুরুমবেড়া ফোর্ট, ২. জঙ্গলকন্যা উদ্যান ও সুবর্ণরেখা নদীতে নৌকা বিহার, ৩. পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম জঙ্গলকন্যা সেতু, ৪. উড়িষ্যার বালাসোর জেলার অন্তর্গত ৮০০ শত বৎসরের প্রাচীন রাইবনিয়া ফোর্ট, ৫. জঙ্গলের মধ্যে রাঁঙিয়াম ড্যাম, যেখানে প্রতিদিন বুনো হাতি 🐘 জল খেতে আসে, ৬. গহীন অরণ্যের মাঝে তপোবন বাল্মিকী মুনির আশ্রম, সীতাকুণ্ড, মা সীতার আঁতুড় ঘর, লব কুষের স্নানের জায়গা... যেখান থেকে কাজল জল ও হলুদ জল বেরায়, ৭. তপোবন ড্যাম, তিলক মাটির ঢিবি ও সীতা নালা... যেখানে হরিণ 🦌 জল খেতে আসে। ৮. সুবর্ণরেখা নদীর তীরে উঁচু টিলার উপর অবস্থিত ৬০০ শত বৎসরের প্রাচীন রামেশ্বর মন্দির 🛕। ( রাত্রিবাস - Hotel 🏨 Subarnarekha Inn / Gopiballavpur ) 💛 দ্বিতীয় দিন:-  গোপীবল্লভপুর থেকে সকাল সকাল সাইট সিইং এ বেরিয়ে পড়া... ১. বাংরিপোষী, বাবনঘাটি, পাহাড়ের উপর অবস্থিত দুয়াসুনি মন্দির 🛕, ২. ঠাকুরাণী পাহাড়ে ট্রেকিং ও গুহার ভেত...

ঝাড়গ্রামের সরকার স্বীকৃত সব হোম স্টে লিংক রঙিন হেডিং এ ক্লিক করুন

বেলপাহাড়ির গান শুনতে নিচের(নীল বেল পাহাড়ী র গানে )লিংক ক্লিক করুন:- বেলপাহাড়ীর গান

বেলপাহাড়ী পর্যটন ও বেলপাহাড়ীর দুর্গা পূজো পরিক্রমা / বিচিত্র গুপ্ত  এবছর দুর্গা পূজার সময় অনেকেই বেলপাহাড়ী পর্যটনে আসছেন। নিজেদের পরিচিত যাপিত জীবনের এক ঘেয়ে রুটিন থেকে নিজেকে সরিয়ে, পাহাড় জংগল ঘেরা সবুজের সাথে নিজেকে উজাড় করে , বুক ভরে স্বস্তির বাতাস নেওয়ার জন্য পুজোর কয়েকটা দিন ঝাড়গ্রাম তথা বেলপাহাড়ী তে যারা আসার প্লান করেছেন, বেলপাহাড়ী র বিভিন্ন পর্যটন স্থান ( ঘাগরা জলপ্রপাত, তারাফেনী ড্যাম ,গাররাসিনি পাহাড়, খান্দারানী ড্যাম, ঢাঙ্গি কুসুমের হুদ হুদি জলপ্রপাত, কেটকি ঝর্ণা, কাঁকড়া ঝোর, লালজল গুহা , হাঁসা ডু ঙ রি , কানাইসর পাহাড়, চিতি পাহাড় ইত্যাদি)ভ্রমণের পাশাপাশি বেলপাহাড়ী র যে সকল দুর্গা পুজো আপনি উপভোগ করতে পারবেন ,তার একটা তালিকা এখানে দেওয়া হলো।  ১. বেলপাহাড়ী দক্ষিণ পাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব :             এই পুজো বেলপাহাড়ী র ইন্দিরা চক থেকে SBI ব্যাংক এর রাস্তা ধরে ১০০ মিটার মত এগোলেই ব্রিটিশ দের ফেলে যাওয়া নীল কারখানার মাঠে হয়ে থাকে।  ২. বেলপাহাড়ী এস সি হাই ইস্কুল এর পুজো:            ...

বেলপাহাড়ি ভ্রমণ, ডিসেম্বর ২০২১, (দ্বিতীয় পর্ব ।) @সূর্য পাল /দমদম বেলপাহাড়ি ভ্রমণের আমার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে ভাগ করে  নিয়েছিলাম । প্রধানত ধাঙ্গী কুসুম এবং  হুদহুদি জলপ্রপাত আর ওখানকার সুন্দর  মানুষজনের কথা লিখেছিলাম । এবার গাড়রাসিনী পাহাড় আর লালজল পাহাড় । শুরু করি গাড়রাসিনী পাহাড় দিয়ে । বেলপাহাড়ি ইন্দিরা পয়েন্ট থেকে টোটো স্ট্যান্ড বাঁদিকে রেখে খানিকটা এগিয়ে রাস্তাটা বাঁ দিকে ঘুরে গেছে, ওই দিকেই যেতে হবে ।      হাই স্কুল, প্রাইমারি স্কুল ছাড়িয়ে বেশ খানিকটা যাবার পর রাস্তাটা দুই দিকে ভাগ হয়ে গেছে । ডান দিকের রাস্তা কুলডিহি, সিঁদুরিয়া হয়ে, দোমোহানি ব্রিজ পার হয়ে, লালজল পাহাড়ের দিকে ।                                                        ডান দিকের রাস্তা যাচ্ছে গাড়রাসিনী পাহাড়ের দিকে । বাঁশকেত‍্যা, গোহালবের‍্যা, আগুইবিল হাট ছাড়িয়ে, প্রায় ডানদিকে বাঁক নিতে নিতে, সর্পিল পাহাড়ি পথ ধরে ধরে...

বেলপাহাড়ী ভ্রমণ গাইড -৫// বিচিত্র গুপ্ত  হাওড়া- ঝাড়গ্রাম / ঝাড়গ্রাম - হাওড়া ট্রেনের সময় সূচি। সকলের পক্ষে নিজস্ব গাড়িতে ঝাড়গ্রাম তথা বেল পাহাড়ী আসা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তারা ট্রেন জার্নি বেশি পছন্দ করেন । সব সময় গুগল ঘেঁটে ট্রেনের সময় সূচী ও বের করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আজ এই পোস্টে হাওড়া থেকে ছেড়ে যে সকল ট্রেন ঝাড়গ্রাম আসে , বা ঝাড়গ্রাম থেকে ছেড়ে হাওড়া তে যায়, তার সম্পূর্ন তথ্য উল্লেখ করা হলো। হাওড়া থেকে ঝাড়গ্রাম ট্রেন :- ১. সাতরাগাছি - ঝাড়গ্রাম মেমু স্পেশাল ( ০৮০৬৯)   সাতরাগাছি থেকে ছাড়ে সকাল ৫.৪০ মিনিট। ঝাড়গ্রাম পৌঁছোয় সকাল ৮.৩০ মিনিট। সোমবার থেকে শুক্র বার। শনি রবি বার বন্ধ থাকে। ২. ইস্পাত এক্সপ্রেস ( হাওড়া থেকে ছাড়ে/ ১২৮৭১/ ২২৮৬১)  সকাল ৬.৩৫ মিনিট ঝাড়গ্রাম পৌঁছোয় সকাল ৮.৪৭ প্রতি দিন চলে। ৩. হাওড়া - ঘাটশিলা মেমূ এক্সপ্রেস ( ১৮০৩৩)  হাওড়া থেকে ছাড়ে সকাল ১০.০৫ ঝাড়গ্রাম পৌঁছোয় দুপুর ১২.৫৫ ৫. রাঁচি ইন্টার সিটি সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস ( ২২৮৯২/ বুধ বার, বৃহস্পতি বার এবং শনি বার) সপ্তাহে তিন দিন। হাওড়া থেকে দুপুর ১২.৫০ ঝাড়গ্রাম পৌঁছোয়...

#বেলপাহাড়ীর_ইতিউতি  # কৌশিক হালদার *-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*-*      পশ্চিমবঙ্গে পাহাড়-জঙ্গল-ঝর্ণা আর আদিবাসী জনজীবন এর কম্বিনেশন একসাথে কোথায় পাবো? ৬/৭ বছর আগে হলেও বাঙালী শুধুমাত্র ডুয়ার্সের কথাই বলতো! ঠিকই। এখন কিন্তু জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গার নামও সমানভাবে উঠে আসে।২ টি জায়গার তুলনায় যাওয়া বৃথা,কারণ প্রকৃতি নিজের মত করে সৃষ্টি করেছে এক এক জায়গার ভূমিরূপ, বৃক্ষরাজি,লোকসংস্কৃতি। এই ভিন্নতা আমাদের গর্ব শুধু না,আমাদের মত ভ্রমন পিয়াসীদের কাছে আশীর্বাদস্বরূপ। হাত বাড়ালেই এমন সব মনিমুক্ত হাতছানি দেয়। এই যেমন বেলপাহাড়ী।ঝাড়খন্ড ঘেঁষা এই ব্লকটিতে ১দিনের ঝটিকাসফর করতে পারেন ,আবার ২/৩ দিনও অনায়াসে ঘুরে কাটানো যায়। হাওড়া/সাত্রাগাছি থেকে ভোর ভোর ট্রেনে চাপলে ৯ঃ৩০ থেকে ১০ টার মধ্যে ঝাড়গ্রাম। সেখানে চটজলদি জলখাবার খেয়ে আগে থেকে বলে রাখা গাড়ীতে বেড়িয়ে পড়া বেলপাহাড়ীর উদ্দেশ্যে। আমরা আগেরদিন চিল্কিগড় ও ঝাড়গ্রাম শহর দেখেছিলাম।রাত্রিবাস ঝাড়গ্রামেই। পরদিন জলখাবার খেয়ে ১০ টা'র মধ্যেই বেড়িয়ে পড়েছিলাম বেলপাহাড়ীর উদ্দেশ্যে। ◾যে পর্যায়ক্রমে আমরা বেলপাহাড়ী ঘুরলাম তার বৃত্তান্ত নিচে দিলাম। ...

### ঘাগরার গল্প ### @ দেবাশীষ রায় রোজকার জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে আমাদের একদিনের বাইক অভিযান গুলো ভীষণ কাজ দেয়। প্রায় মাস দুয়েক কোথাও যাওয়া হয়নি, মনের মধ্যে একটা ছটফটানি অনুভব করছি, আর নয়, এবারে বেরোতেই হবে। রাত্রে, ক্লাবে ক্যারম খেলতে খেলতে তারই পরিকল্পনা যখন চলছে, ঠিক তখনই আমাদের ভাতৃস্থানীয় ভোলা গুগলদেবের শরণাপন্ন হয়ে আমাদের বললো 'এবারে বেলপাহাড়ির, ঘাগরা ঘুরে এসো'। গুগলে ঘাগরার কয়েকটি ছবি দেখে মুহূর্তের মধ্যেই আমাদের মত গার্হস্থ্য ভবঘুরের দল এক পায়ে খাড়া হয়ে গেলাম ঘাগরা যাবার জন্য। দশই আগস্ট 2017 ভোর পাঁচটায়, পাঁচটা বাইকে আমরা দশজন হাওড়ার বাগনান থেকে যাত্রা শুরু করলাম। ঘাগরা যেতে গেলে পাড়ি দিতে হবে একশো ষাট কিলোমিটার রাস্তা। হাইওয়েতে উঠে কোলাঘাটে পৌঁছে গরম এক কাপ করে চা খেয়ে, একটু আড্ডা মেরে আবার চলা শুরু করলাম। মাঝে তিন চারবার দাঁড়িয়ে, খড়গপুর চৌরাস্তা পৌঁছলাম। ওখান থেকে ঝাড়গ্রামের রাস্তা ধরে লোধাশুলি মোড়ে যখন পৌঁছলাম, তখন বাজে সকাল সাড়ে সাতটা। ওখানে রাস্তার ধারের অস্থায়ী দোকান থেকে দুটো করে গরম গরম কচুরি, অল্প ঘুগনি মুড়ি, গরম আলুর চপ, ডিম ভাজা সব মিলিয়ে মিশিয়ে প্র...

বেলপাহাড়ীর আনাচে কানাচে..... @ ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়  এবারের পুজোয় কোভিডের ভয় জয় করে কাছেপিঠে কোথায় যাওয়া যায় এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে করতে বেলপাহাড়ী যাবার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেললাম | বেলপাহাড়ী ঝাড়গ্রাম জেলার একটি প্রান্তীক মফস্বল অঞ্চল যার প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী যথেষ্ট আকর্ষণীয় | পাহাড় ঘেরা অরণ্য, সরল আদি অধিবাসী, ঝর্ণা আর আমাদের মত শহরবাসীদের কাছে অক্সিজেনের ভান্ডার এই জায়গাটি বাঁকুড়া জেলার মুকুটমনিপুর, ঝাড়খন্ডের ঘাটশিলা ও উড়িষ্যার প্রান্তসীমায় অবস্থিত |  কোলকাতা থেকে বেলপাহাড়ী সড়কপথে যাবার তিনটি রাস্তা আছে |  মুম্বাই রোড ধরে খড়গপুর হয়ে লোধাশুলির জঙ্গল পেরিয়ে ডানহাতি চিছড়ার পথ ধরে সোজা বেলপাহাড়ী | দূরত্ব প্রায় ২১০ কিলোমিটার |  মুম্বাই রোড ধরে খড়গপুর থেকেই ডানদিকে মেদিনীপুর, গড়বেতা হয়ে | দূরত্ব প্রায় ২৩৫ কিলোমিটার | আর ডানকুনি থেকেই ডানদিকে চন্ডীতলা, আরামবাগ, জয়রামবাটী, বিষ্ণুপুর হয়ে | দূরত্ব প্রায় ২৬০ কিলোমিটার | ট্রেনপথে কাছাকাছি স্টেশন ঝাড়গ্রাম | বা ঘাটশিলা হয়েও আসতে পারেন | তবে দুটি ক্ষেত্রেই আপনাদের স্টেশন থেকে গাড়ী নিতে হবে | আমরা ৬ জন মহা...

বেলপাহাড়ি ভ্রমণ ডিসেম্বর 2021 (প্রথম পর্ব ) @ সূর্য পাল // দমদম বেলপাহাড়ি, নামটার মধ্যেই একটা মাধুর্য লুকিয়ে আছে । শুনেছি বেলপাহাড়ীতে ঋতুরাজ বসন্ত নয়, ঋতুরাজ বর্ষা । তবে আমরা ডিসেম্বরের শেষের দিকে, মিঠে রোদ গায়ে মাখতে মাখতে, বেলপাহাড়ীর গ্রামের পথ ধরে ধরে একটু ঘুরে এলাম, তিনদিনের অবকাশে । এক অনাবিল আনন্দের আকাশ মন প্রাণ সব ভরিয়ে দিল । খুব ইচ্ছে করছে সবার সঙ্গে সেই আনন্দটুকু ভাগ করে নিতে । আমরা ছিলাম ইন্দিরা চক, মানে বেলপাহাড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্র বলা যায় যে জায়গাটাকে তার খুব কাছেই 'বিজলী ভবন হোম-স্টে' । বেলপাহাড়ীর ইন্দিরা পয়েন্ট থেকে  এসবিআই রোড ধরে ঢুকতেই প্রথমে  ডান দিকে কাঁচালঙ্কা ফ্যামিলি রেস্টুরেন্ট, খেয়াতরী জলখাবার এবং খাবার হোটেল । তারপরে পার হয়ে বামদিকে এসবিআই,  একটি তেলেভাজার দোকান ।  এরপরে রাস্তা যেখানে ডান দিকে ঘুরে গিয়েছে, সেখানেই বাম দিকের কোনায় 'অতিথি নিবাস গেস্ট হাউস।' এই রাস্তা ধরে বেশ খানিকটা এগোলেই বাগানবাড়ি হোম-স্টে । ইন্দিরা পয়েন্টে টোটো স্ট্যান্ডের বামদিকে গলির মধ্যে দিয়ে পার হয়ে...

ঝটিকা সফরে ঝাড়্গ্রাম-বেলপাহাড়ী-কাঁকড়াঝোর পর্ব ৪ @ সুমেধা চট্টোপাধ্যায় অলৌকিক এক শ্বাপদ ও আমরা.... দুপুরের খাওয়া শেষ হতে হতেই প্রায় চারটে বেজে গেল। তারপর সবাই স্নান সেরে যখন গাড়ির সামনে জড়ো হলাম প্রায় ৫টা। ছ'টায় চিড়িয়াখানা বন্ধ হবে। কপাল ঠুকে বেরিয়েই পড়লাম। তখনও জানি না এই চিড়িয়াখানা দর্শন আমাদের জীবনে চিরস্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। বৃষ্টি হচ্ছে বলে অন্যদিনের তুলনায় আগেই অন্ধকার হয়ে এসেছে। তাও আমরা সিদ্ধার্থ'র গাড়িতে সবাই 'দুগ্গা দুগ্গা' বলে উঠে পড়লাম। সাথে ছাতা-বর্ষাতি আর আমাদের অদম্য উৎসাহ। প্রসঙ্গত বলে রাখি, ঝাড়্গ্রাম মিনি জু এর পোষাকি নাম 'জঙ্গলমহল জুওলজিকাল পার্ক'। ১৯৮০ সালে একটি ছোট ডিয়ার পার্ক হিসেবে চালু হলেও ধীরে ধীরে এটি এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র‍্যের আধার হয়ে ওঠে। বর্তমানে ২১.৫৩ হেক্টরের এই বনাঞ্চলে স্তন্যপায়ী, পাখি ও সরীসৃপ মিলিয়ে শতাধিক প্রাণী আছে।  যথারীতি জিপিএস দিয়ে চিড়িয়াখানার প্রস্তাবিত গেটের সামনে এসে গেটটি তালাবন্ধ দেখে সিদ্ধার্থ গাড়ি ঘোরাতে যাবে, অর্য্যমা বলল 'গুগলে খোলা দেখালো, দাঁড়াও তো।' বলে একটু এগিয়ে যেতেই ভিতরে এক ভদ্রলোককে দেখ...