Posts

ঝটিকা সফরে ঝাড়্গ্রাম- বেলপাহাড়ি- কাঁকড়াঝোর পর্ব ১// সুমেধা চট্টোপাধ্যায়

Image
ঝটিকা সফরে ঝাড়্গ্রাম- বেলপাহাড়ি- কাঁকড়াঝোর পর্ব ১ @ সুমেধা চট্টোপাধ্যায় যাত্রাপথ ভ্রামণিক ও লেখক শ্রী ভগীরথ মিশ্রর মতে দেখার জায়গার মতো যাত্রাপথও কিন্তু যে কোন ভ্রমণকাহিনীর অঙ্গ। তাই প্রথম পর্বে আমাদের যাত্রাপথের গল্প রইল।  অনেকদিন ধরেই গাড়ি নিয়ে কাছাকাছি কোথাও আমরা যাব ভাবছিলাম। এখন তো অনলাইন ক্লাসের চক্করে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকেও বাবা-মা এর নাজেহাল দশা। বাড়ির বদলে বাইরে ক্লাস করতে গেলে বই-পত্র, স্কুলড্রেস এসব আবার টেনে নিয়ে যাওয়ার ঝক্কি থাকে। তাই সব সামলে টিনটিনের মিড টার্ম পরীক্ষার পর আমাদের ঝাড়্গ্রাম-বেলপাহাড়ি-কাঁকরাঝোর যাওয়া ঠিক হল। সিদ্ধার্থ-অর্য্যমা এবং ছোট্ট অনুত্তরার সাথে আমাদের আগে একবার তাকদা যাওয়ার প্ল্যান ঠিক করেও বাস্তবায়িত হয় নি। ওদের জানানোতেই সিদ্ধার্থ সহাস্যে বলল 'আরে সুমেধা, আমরাও তো কয়েকদিন ধরে ঝাড়্গ্রামের কথাই ভাবছিলাম। কি আশ্চর্য দেখো! আমি বেশ কিছু পড়াশোনাও করেছি।' অতএব থাকার জায়গা বুক করা নিয়ে তোলপাড় শুরু হল। বনবিভাগের বুকিং করোনার জন্য বন্ধ। রাজবাড়ি আমাদের পছন্দের দিনে ফাঁকা নেই। সিদ্ধার্থর চেষ্টায় ফুলবেড়িয়ার কাছে একটি জায়গায় বেশ অল্প ক'দিনের নোটিসে দ...

ঝটিকা সফরে ঝাড়্গ্রাম- বেলপাহাড়ি- কাঁকড়াঝোর পর্ব ২// সুমেধা চট্টোপাধ্যায়

Image
ঝটিকা সফরে ঝাড়্গ্রাম- বেলপাহাড়ি- কাঁকড়াঝোর পর্ব ২ @ সুমেধা চট্টোপাধ্যায় পথ হারানো, সারমেয় কান্ড ও উদ্ধার গুপ্তমণি জিপিএস এ সার্চ সিয়ে সিদ্ধার্থ তো এগোল। বাঁ দিকে দেখলাম একটা বাসস্টপ পার হল, গুপ্তমণি লেখা। সেটি পেরিয়ে বেশ খানিক দূর গিয়ে দেখি গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ল। জিপিএস ইউ টার্ন দেখাচ্ছে। বুঝলাম যে মন্দিরটি রাস্তার ওপারে। এবং ইউ টার্ন নিলেও বেশ খানিকটা পিছনে আসতে হবে। তাই ঝটিকা সিদ্ধান্ত হল যে আমরা মন্দিরটি ফেরার দিন দেখব। অতঃকিম পরের গন্তব্য কৃষ গার্ডেন। গুপ্তমণির ইতিহাস বৃত্তান্তটিও তোলা রইল। ফেরার দিন ই সবিস্তারে বলব।  গড় শালবনী, লোধাশুলির জঙ্গুলে এবং নয়নজুড়ানো সবুজ প্রকৃতির মধ্যে দিয়ে আমরা ঝাড়্গ্রামে প্রবেশ করলাম। পুরো রাস্তাটিই দারুণ সুন্দর। মা বাড়ি থেকে ফোনে জানাল যে প্রবল বৃষ্টিতে কলকাতা ভেসে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা শরতের কাশফুল ও সোনা রোদ মেখেই ঢুকে পড়লাম ঝাড়্গ্রামে।  হঠাৎ দেখি সিদ্ধার্থ মূল পিচ রাস্তা ছেড়ে একটি মোরামের লাল মাটির রাস্তায় ঢুকলো। জনমানব হীন। কিছু দূর যাওয়ার পর চোখে পড়ল বাঁ দিকে কয়েক জন লোক বসে আছেন। এবং অবাক হয়ে আমাদের দেখলেন। তাদের ছাড়িয়ে জিপিএস এর মহিলাকণ্ঠে আ...

ঝটিকা সফরে ঝাড়্গ্রাম-বেলপাহাড়ী-কাঁকড়াঝোর-পর্ব ৩// সুমেধা চট্টোপাধ্যায়

Image
ঝটিকা সফরে ঝাড়্গ্রাম-বেলপাহাড়ী-কাঁকড়াঝোর পর্ব ৩ @ সুমেধা চট্টোপাধ্যায়  প্রকৃতি ও ইতিহাসের মাঝে.... কৃষ গার্ডেন থেকে আমরা ঝাড়্গ্রাম প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র ও আদিবাসী সংগ্রহশালা 'র উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। জায়গাটির নাম বাঁদরভোলা। একটি বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে ঘেরা উঁচু উঁচু শাল সেগুনের জঙ্গল। তারমধ্যে WBFDC র কটেজগুলি। এখন করোনার কারণে বুকিং বন্ধ। তবে আদিবাসী সংগ্রহশালাটি খোলা ছিল। আমরা ক্যাম্পাসের মধ্যেই গাড়ি পার্ক করলাম। জঙ্গলের মধ্যে কৃত্রিম হাতি ও হরিণের পরিবার। হঠাৎ দেখলে গা-ছমছম করে ওঠে। কিছু আদিবাসীরও প্রতিকৃতি করা। আমাদের দেখেই এক ভদ্রলোক কাঁধে তোয়ালে ফেলে এগিয়ে এসে বললেন 'কটেজ বন্ধ'। আমরা যদিও জানতে চাইনি৷ ঘুরতে ঘুরতে আদিবাসী মিউজিয়ামে এলাম। এক ভদ্রলোক খুবই অনিচ্ছা এবং মুখে বিরক্তি নিয়ে বসে আছেন। নজর রাখছেন দুটি বিষয়ে। জুতো খোলা হচ্ছে কিনা। আর বেরোবার সময়ে ফিডব্যাক যেন লেখে সবাই।  মিউজিয়ামটির ভিতর খুব সুন্দর। দর্শনার্থী তেমন না আসার কারণেই মনে হয় আলো কম জ্বালানো এবং এসি চলছিল না। সাঁওতাল, মুন্ডা, ওঁরাও প্রভৃতি জনজাতির ব্যবহার্য নানা অস্ত্র, পোষাক, বাদ্যযন্ত্র, মুখোশ ইত্যাদি ...

চেনা অচেনা বেলপাহাড়ী// অভিজিৎ কুন্ডু

Image
চেনা অচেনা বেলপাহাড়ী// অভিজিৎ কুন্ডু আবার বেলপাহাড়ী!! বেলপাহাড়ীতে আবার নতুন কি দেখবো?? সে তো যত বার বেলপাহাড়ী গেছি, প্রাণ ভরেই দেখেছি। এ আবার নতুন কি!! এটা যদি ভেবে থাকেন তাহলে বলি - হ্যাঁ, আবার বেলপাহাড়ী। বেলপাহাড়ী মানে শুধু ঘাগরা, তারাফেনী ব্যারেজ, খান্দারানী জলাধার, লালজল গুহা, কাঁকড়াঝোড় জঙ্গল, ময়ূরঝর্ণা সানসেট পয়েন্ট, কানাইসর পাহাড়, গাড়রাসিনি আশ্রম, ঢাঙ্গিকুসুম জলপ্রপাত বা কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য নয়। কেন নয়, সেই প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া ভালো।  আমরা পূর্ব ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গে বসবাস কারী নাগরিক। আপনি এমন কোন পর্যটন কেন্দ্র বা ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র এর নাম বলতে পারবেন যেখানে আদিম মানুষের বসবাস ছিলো? আদিম মানুষ, মানে সেই আদিম যুগের মানুষ, যে যুগে মানুষ বসবাস করত গাছের কুঠুরিতে, কিংবা দুর্গম পাহাড়ি গুহার ভিতর!! পাথরের তৈরী অস্ত্র-শস্ত্র ব্যবহার করত হিংস্র বন্যজন্তুর হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য! সেই আদি প্রস্তর যুগ, মধ্য প্রস্তর যুগ, নব্য প্রস্তর যুগ থেকে ধীরে ধীরে তাম্র যুগ, লৌহ যুগ থেকে মধ্য যুগের বিবর্তন হয়েছে, এমন পর্যটন কেন্দ্র এর কত গুলো নাম আপনার জানা আ...

ঝটিকা সফরে ঝাড়্গ্রাম-বেলপাহাড়ী-কাঁকড়াঝোর - পর্ব ৫// সুমেধা চট্টোপাধ্যায়

Image
ঝটিকা সফরে ঝাড়্গ্রাম-বেলপাহাড়ী-কাঁকড়াঝোর পর্ব ৫ বেলপাহাড়ী, কাঁচালঙ্কা ও বিধানদা'র গল্প... বিধানদা (এনার বিষয়ে সবিস্তার আছে নীচে) আমাদের ঝাড়্গ্রাম-বেলপাহাড়ী-ঝাড়্গ্রাম গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এর মূল কারণ হল আমাদের দুই পরিবারের গাড়ীই ছোট...অল্টো। বেলপাহাড়ীর বেশ কিছু রাস্তায় এই গাড়ীতে যাওয়া বেশ চাপের। তাই হয় বেলপাহাড়ীতে গাড়ি রেখে যেতে হবে বা ঝাড়্গ্রাম থেকেই গাড়ি নিয়ে যেতে হবে। সকালে ব্রেড-অমলেট-চা ব্রেকফাস্ট সেরে আমরা বেলপাহাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। একটি এসি স্করপিও গাড়ি আমাদের জন্য বরাদ্দ ছিল। ড্রাইভার দাদার নাম রবি কিস্কু। বিধান'দা র টুর ডে ট্রীপের প্ল্যান অনুযায়ী আমরা প্রথমে লালজল, ময়ুরঝর্ণা, কেটকি, ঢাঙ্গি কুসুম হুদহুদী দেখে লাঞ্চ করব কাঁচা লঙ্কাতে তারপর গাড়রাসিনী পাহাড়, ঘাগরা জলপ্রপাত, খাঁদারানি লেক ও তারাফেনি ড্যাম দেখে ঝাড়্গ্রাম ফিরে আসব।  সেইমতো বেলপাহাড়ীর দিকে রওনা দিলাম। চোখজুড়ানো সবুজের মাঝে পিচ রাস্তার গালিচা। শুধু তাকিয়ে থাকতে হয়৷ আমরা পালা করে সামনে বসে কিছু ভিডিও ও ছবি তুলে রাখলাম। প্রথম গন্তব্য ঢাঙ্গিকুসুম গ্রামের হুদহুদী জলপ্রপাত।  ঢাঙ্গি শব্দটিও স্ত্রী লিঙ্...

_ভৈরব বাবার থান - কাকরাঝোর, বেলপাহাড়ি// সন্দীপন দাস

Image
||_ভৈরব বাবার থান - কাকরাঝোর, বেলপাহাড়ি_|| @ সন্দীপন দাস/ঝাড়গ্রাম ঝাড়গ্রামের সবচাইতে লোভনীয় ট‍্যুরিস্ট স্পট হলো বেলপাহাড়ির কাকরাঝোর। মূলতঃ বিস্তীর্ণ গভীর পাহাড়ি জঙ্গল এবং তার বুক চিরে চলে যাওয়া কালো ঢেউখেলানো রাস্তায় বাইক চালানোর জন্য দলে দলে বাইকাররা আসেন কাকরাঝোরে। কাকরাঝোরের কোনও স্পট সে অর্থে এখনও প্রসিদ্ধ হয়নি। কাকরাঝোর মূলতঃ এই রোড ট্রিপ বা বাইক-ট্রেইল এর জন্যই বিখ্যাত। তবে কাকরাঝোরের ভৈরব বাবার থান একটি সুন্দর শান্তির জায়গা। তার সংলগ্ন জায়গা জুড়ে শালজঙ্গলে সারাদিন ধরে আলো-আঁধারির খেলা চলে। বাবার থানের ঠিক ঢিলছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে কাকরাঝোর ড‍্যাম। একটি পাহাড়ি নদী কবিতার ছন্দের মতন এখানে সারাদিন অবিরাম বয়ে চলে। নদীটার নাম খানি ভারি মিষ্টি। 'খরস্বতী'। যখন কাকরাঝোর থেকে বাঁদিকে বেঁকে ভৈরব থানের দিকে আসবেন তখন এবড়ো খেবড়ো পাহাড়ি রাস্তা ধরতে হবে। বাঁদিকে থাকবে উঁচু পাহাড় আর ডানদিক দিয়ে খরস্বতী আপনার পাশে পাশে যাবে। সে এক অসাধারণ দৃশ্য। (এই নদী ঘাটশিলার আগে সুবর্ণরেখা নদীতে মিশেছে) এইখানে চুপি চুপি বলে রাখি, জায়গাটা পশ্চিমবঙ্গে নয়। এটা ঝাড়খণ্ডে। জায়গাটার সত‍্যিকারের নাম কানিমহুলি...

কি কি দেখার আছে বেলপাহাড়ীতে ?// বিচিত্র গুপ্ত

Image
বেলপাহাড়ী। যারা ভাবছেন সপ্তাহের শেষে কিংবা কোনো ছুটির দিনে বেলপাহাড়ী ঘুরতে আসবেন, তাদের জন্যে এই পোস্ট। বেলপাহাড়ী ও বেলপাহাড়ী কে কেন্দ্র করে আপনি কোন কোন জায়গা বা স্পট ঘুরবেন, তার একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ এখানে দেওয়া হলো। প্রসঙ্গত ,কলকাতা সড়ক বা রেল পথে সব চেয়ে কম সময়ে(মোটামুটি ৪ ঘন্টা) পাহাড়,জঙ্গল,জলপ্রপাত, প্রাগৈতিহাসিক গুহা ,নীলকর সাহেবের বাংলো ও নীল কারখানা দেখতে হলে বেলপাহাড়ী এর বিকল্প নেই। বেলপাহাড়ী কে কেন্দ্র করে আপনি ঝাড়গ্রাম (ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ী,চিলকিগড় রাজবাড়ী,কনক দুর্গা মন্দির,zoological পার্ক etc) ঘাটশিলা (সুবর্ণরেখা নদী, বিভূতি ভুষন বন্দ্যোপাধ্যায় এর বাড়ি,বুরুডি lake, ধারাগিরি, গালুডি ,লকাইসিনি পাহাড়) ,ঝিলিমিলি (তালবাড়িয়া ড্যাম,12 মাইল জঙ্গল), দুয়ার সিনি,ভালো পাহাড়,মুকুট মনিপুর ঘুরে দেখতে পারেন। বেলপাহাড়ী তে ১.ঘাগরা জলপ্রপাত ২.তারাফেনি নদী ও তারাফেনি ড্যাম। ৩. কানাইসর পাহাড় ৪.গজ ডুঙরি ৫. গাররাসিনি পাহাড় ৬. খান্দারানী লেক ৭.লালজল প্রাগ ঐতিহাসিক গুহা ৮.বরহাপাল এর রাজা রানী পাহাড় ও গুহা ৯. ময়ূর ঝর্ণা ১০.কাঁকড়াঝোড় জঙ্গল ও ভৈরব থান। ১১.কাঁকড়া ঝোড় লেক ১২.মাকুরভুলার চাতরা জল...

বেলপাহাড়ী ভ্রমন এবং বাঁদনা পরব, গরু খুঁটান...// বিচিত্র গুপ্ত

Image
বেলপাহাড়ী ভ্রমন এবং বাঁদনা পরব, গরু খুঁটান... // বিচিত্র গুপ্ত। আছছা, যদি এমন হয়, প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করার জন্যে, অনেক প্লান পরিকল্পনা করে অবশেষে বেলপাহাড়ী আসা ঠিক করলেন এবং চলেও এলেন। বেলপাহাড়ীর পরিচিত গাড়রাসিনী,লালজল, ঘাগরা ,কেটকি ঝর্ণা,ময়ূরঝর্ণা,আমঝর্ণা ,কাঁকড়াঝোর, ঢাঙ্গিকুসুম ইত্যাদি দেখলেন এবং চলেও গেলেন।বেশ ভালো পরিকল্পনা।  কিন্তু ধরুন, এই প্রকৃতি পর্যটন এর সাথে , মানে একই সাথে এই বিস্তীর্ন অঞ্চলের জনজীবনের সংস্কৃতির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে থাকা এক অন্যতম এবং সুপ্রাচীন উৎসব বা পরব উপভোগ করারও সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গেলেন, কি করবেন??? সেই সুযোগ হেলায় নষ্ট করবেন?? নিশ্চয় না!  আর মাত্র কয়েকদিন পরেই কালীপূজা।টানা তিন চার দিন ছুটিও রয়েছে। কোথাও দু তিন দিনের জন্যে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে বা পরিকল্পনা থাকলে , অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ীতে আসার সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন।কেননা ,বাঁদনা পরব ঠিক এই সময়ই হয়ে থাকে। কালীপুজোর দিন থেকে তিন দিন, মানে ভাই ফোঁটার দিন পর্যন্ত।  যারা ভাবছেন ,বাঁদনা পরব আবার কী?? তাদের জন্যে এই অঞ্চলের বিশিষ্ট এক প্রবন্ধকার শ্রী বিপ্লব মাহ...

কেন বেলপাহাড়ী আসবেন না?// বিচিত্র গুপ্ত

Image
না,বেলপাহাড়ী যাবেন না... এই লেখার শিরোনাম আপনি ঠিকই পড়েছেন।কোথাও কোন ভুল নেই।হাঁ, সত্যি বলছি , আপনি বেলপাহাড়ী যাবেন না। একদমই যাবেন না।যদি আপনার একবারের জন্যেও মনে হয়, ইউ টিউব , ফেসবুকে বেলপাহাড়ী ভ্রমণের যে সব ভিডিও,লেখা ,ছবি ইত্যাদি ইত্যাদি রয়েছে ,সে গুলো কি দা-রু-ণ, আর এই সব লেখা পড়ে ও ভিডিও ,ছবি দেখে ভেবে থাকেন,নিশ্চই বেলপাহাড়ী তে এভারেস্ট এর মত উঁচু উঁচু পাহাড় রয়েছে, এবং সেই সব পাহাড়ের টপ পর্যন্ত আপনার চার চাকা,দুই চাকা পৌঁছে যাবে, তাহলে আপনি বেলপাহাড়ী যাবেন না। যদি ভাবেন বেলপাহাড়ী তে খান্দারানী জলাধার ,কেটকি ঝর্ণা , গজপাথর সরোবর ইত্যাদি নিশ্চয় কাশ্মীরের উলার বা ডাল লেক এর মত বিশাল বড় বড় হ্রদ বা জলাধার ,তাহলে আপনি বেলপাহাড়ী ভ্রমণ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। যদি ভেবে বসেন ,নিশ্চয় বেলপাহাড়ী তে বিশাল বিশাল শপিং মল,বাজার , আলো ঝলমল রেস্তোরাঁ, ডিস্কো থেক কিংবা বিলাস বহুল কটেজ,হোটেল ইত্যাদি আছে , খুব খুব কেনা কাটা করতে পারবেন,কব্জি ডুবিয়ে যা চাইবেন সব খেতে পারবেন তাহলে আপনি বেলপাহাড়ী যাবেন না।আপনার যদি মনে হয় ,নিশ্চয় বেলপাহাড়ী তে nicco park এর মত বিনোদন মূলক মনুষ্য নির্মিত প...

একদিনে বেল পাহাড়ীর কোথায় ঘুরবেন// বিচিত্র গুপ্ত

Image
বেলপাহাড়ী ভ্রমণ গাইড// বিচিত্র গুপ্ত  অধুনা ঝাড়গ্রাম জেলার অন্যতম প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ ও পর্যটন কেন্দ্র বেলপাহাড়ী। সেই সঙ্গে প্রাচীন প্রস্তর যুগ থেকে বর্তমান মানব সভ্যতার বিবর্তনের বিবিধ পর্যায়ের সাক্ষ্য বহনকারীও এই বেলপাহাড়ী। ঝাড়গ্রাম হয়ে এক দিনের জন্য বেলপাহাড়ী ঘুরে যে সব পর্যটন স্থান পরিদর্শন করা সম্ভব তার একটি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ গাইড এখানে উল্লেখ করা হল,বিশেষ করে যারা প্রথম বারের জন্যে বেলপাহাড়ী আসবেন ভাবছেন তাদের জন্যে।  কোন কোন জায়গায় যাবেন:- ১. লালজল গুহা ২. ময়ূর ঝর্ণা ৩. কাঁকড়াঝোর ৪. কেটকি ঝর্ণা ৫. ঢাঙ্গিকুসুম হুদহুদী (নাম মোটেই ডুঙরি ফলস নয়) জলপ্রপাত ৬. গাররাসিনি পাহাড় ৭.খান্দারানী জলাধার ৮. তারাফেনী ড্যাম ৯. ঘাগরা জলপ্রপাত।  প্লান:-  সকাল ৯ -১০ টার মধ্যে বেলপাহাড়ী পৌঁছতে পারলে ভালো হয়। মোটামুটি সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা।এক্ষেত্রে দুই পার্টে আপনার ভ্রমণ ভাগ করে নিন। প্রথম পার্ট লাঞ্চ এর আগে।দ্বিতীয় পার্ট লাঞ্চ এর পরে। উপরের লিস্ট থেকে ১ - ৫ নং(লালজল,ময়ূর ঝর্ণা,কাঁকড়া ঝোর, কেটকি ঝর্ণা ও হুদহুদী জলপ্রপাত) পর্যন্ত লাঞ্চ এর আগে। ৬-৯ ( গাররাসিনি, খান্দারানী, তারাফেনী...

বেলপাহাড়ী চড়ক মেলায় আসুন // বিচিত্র গুপ্ত

Image
বেলপাহাড়ী হলিতে রুম না পেয়ে আসতে পারেন নি তো কি হয়েছে....  চড়ক মেলাতে আসুন...  স্বাভাবিক। অনেক ইচ্চে ,প্লান পরিকল্পনা এবং সর্বোপরি একটানা ২/৩ দিনের ছুটি হাতে থাকা সত্তেও ঝাড়গ্রাম তথা বেলপাহাড়ীতে ,কেবল মাত্র থাকার রুম না পাওয়ার কারণে ,আসতে না পারার জন্যে মন ভেঙে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আপনার জায়গাতে আমি থাকলেও ,ওই একই অনুভূতি আমারও হত বৈকি।কিন্তু কি আর করার! হলি তে আসতে পারেন নি বলে যে আর আসতে পারবেন না,এমনটা তো নয়, তাই না?? হা,এটা অবশ্যই ঠিক যে এখন এখানকার দুপুরের তাপমাত্রা ক্রমশ ঊর্ধ্ব মুখী। এক মাসের মধ্যে থার্মোমিটার এর পারদ প্রায় ৪২/৪৩ এর দাগ ছুঁয়ে ফেলবে। তা ফেলুক না। আমি আপনাকে একটা দারুন সময়ের কথা বলছি, নতুন করে আরো একবার বেলপাহাড়ি আসার পরিকল্পনা করতে পারেন।  কাঁকড়াঝোড়।বেলপাহাড়ীর অন্যতম প্রকৃতি পর্যটন স্থল এই কাঁকড়াঝোড়। আগামী ৩১ চৈত্র, ১৪২৮ ,বৃহস্পতিবার। কাঁকড়াঝোড় এর ভৈরব থানে বসবে সুবিশাল চড়ক মেলা। আবার যেহেতু প্রতি বৃহস্পতি বার কাঁকড়াঝড়ে হাট বসে, সেহেতু পাহাড়ী জঙ্গলি ছোট্ট হাট উপভোগ করারও সুবর্ন সুযোগ। চারিদিকে খুব প্রাচীন প্রাচীন সুউচ্চ শাল গাছের বন,দুই পাশ দিয়ে বয়ে...

ঝাড়গ্রাম বেলপাহাড়ী থাকার জায়গা ,যোগাযোগ নম্বর সহ //বিচিত্র গুপ্ত

Image
ঝাড়গ্রাম ও বেলপাহাড়ি ভ্রমণ গাইড - নতুন হোম স্টে ,হোটেল,রেস্টুরেন্ট এর তথ্য সহ //সব তথ্য এক জায়গায়: কোথায় থাকবেন,কিভাবে রুম বুক করবেন ,কোথায় খাবেন, রয়েছে সম্পূর্ন তথ্য: @ বিচিত্র গুপ্ত আজ এই পোস্ট -এ যারা বেল পাহাড়ি ও ঝাড়গ্রাম আসবেন ঠিক করেছেন ,তাদের জন্যে তৈরী করা হলো । আশা করছি সকলের কাজে লাগবে। এখানে এই অঞ্চলের সকল হোটেল/ রিসোর্ট/হোম স্টে এর নাম ও ফোন নম্বর দেওয়া হল: বেলপাহাড়ীর হোটেল/হোম স্টে এর নাম ও ফোন নম্বর ১.অতিথি নিবাস // চাকুলিয়া রোড: 9474405464 ২.বেলপাহাড়ী গেস্ট হাউস// বেলপাহারি পোস্ট অফিস:-8972999926 ৩.লাল পিঁপড়ে ফ্যামিলি গেস্ট হাউস/হাসপাতাল রোড-7501644788 ৪.বিজলি ভবন// ইন্দিরা চক:9679632431 ৫.বাগান বাড়ি /হাট চালি:-7547928202 ৬.রাজ হোম স্টে / হাই স্কুল -8972918589 ৭.তিতলি হোম স্টে // কালি মন্দির চক-9647297283 ৮. অরণ্য গেস্ট হাউস :// ফরেস্ট অফিস :-9647275553 ৯.পবিত্রা হোম স্টে(আগুইবিল):-6295231416 ১০.উমুল হোম স্টে(ঘাগরা):-9679115921 ১১.হুদ হুদি হোম স্টে(ঢা ঙ্গি কুসুম):-8768296140 কাঁকড়া ঝোর:- ১২ মাহাত হোম স্টে :-8709834385 ১৩ কাঁকড়া ঝোর হোম স্টে:-81014...

সংবাদ পত্রে বেলপাহাড়ী ও ঝাড়গ্রাম ২

Image