বেল পাহাড়ী ভ্রমণ গাইড ২ // বিচিত্র গুপ্ত
বেলপাহাড়ী ভ্রমণ গাইড
বেলপাহাড়ী: কোন রাস্তা কোন দিকে গেছে??
পর্ব - ১
@ বিচিত্র গুপ্ত
যায় হোক, চারচাকা নিয়ে কিংবা বাইক নিয়ে তো বেলপাহাড়ী পৌঁছে গেলেন। কিংবা বেল পাহাড়ীর বিখ্যাত ল্যান্ড মার্ক ইন্দিরা চক পৌঁছে গেলেন। এইবার কি করবেন। আপনার যাত্রা পথে অসংখ্য পাকা রাস্তা কিংবা মোরাম রাস্তা ডান দিকে বাম দিকে চলে গেছে ।কোন রাস্তা আসলে কোথায় গিয়ে মিশেছে বা কোথায় গেছে এটা বুঝতে কিংবা সিধ্যান্ত নিতে একটু কনফিউজড হয়ে যেতে হয়। ঝাড়গ্রাম পিছনে রেখে আপনি সামনের দিকে এগোলো ডান দিকের কিংবা বাম দিকের যে কোন রাস্তা দিয়ে বেলপাহাড়ির যে কোন উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থলে পৌঁছনো যায়। এই টুকু মনে রাখলেই হবে। কোন পথ একটু ঘুরে ,আবার কোন পথ সোজা সুজি পর্যটন স্থানে আপনাকে নিয়ে যাবে। সুতরাং চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। এইটুকু মনে রাখতে হবে ।ঘুরপথে পর্যটন স্থানে যাওয়ার যে সব রাস্তা ,সব রাস্তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই এটাও বলা যেতে পারে।
সুতরাং চিন্তিত না হয়ে , যেকোন রাস্তা দিয়ে আপনি আপনার বেলপাহাড়ি র অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আপনি উপভোগ করতে পারেন।
তাহলে আসুন। বেশ কয়েকটা গুরুত্ব পূর্ন রাস্তা চিনে নেওয়া যাক।
১. বেলপাহাড়ী - চাকুলিয়া রোড :
বেলপাহাড়ী ইন্দিরা চক থেকে বাম দিকে , কাঁচা লংকা ফ্যামিলি রেস্টুরেন্ট এর সামনে দিয়ে যে পাকা রাস্তা চলে গেছে ,সেই রাস্তা আসলে ঝাড়খন্ড এর চাকুলিয়া চলে গেছে। এই রাস্তা দিয়ে গেলে আপনি কেন্দা পাড়াতে অবস্থিত হাঁসা ডুংরি ( শ্বেত পাথরের পাহাড়) , গজ ডুংরি , কানাইসর পাহাড়, পবন (চিতি) পাহাড়, রঙিন পাহাড় , ঢাঙ্গিকুসুম , কেটকী ঝর্না সহ যেকোন জায়গায় পৌঁছনো যাবে। বলেরো,স্কর্পিও কিংবা উচু চাকার গাড়ি হলে খুব ভালো।সব থেকে ভালো হয় বাইক।
২. বেলপাহাড়ী কালি মন্দির চক থেকে বৈষ্ণবপুর - তারাফেনী - জাম্বনি - রোড :
বেলপাহাড়ী ইন্দিরা চক থেকে একটু এগোলে মূল( ৫ নং রাজ্য সড়ক) রাস্তা ডান দিকে বেকে ১৫০ মিটার পর্যন্ত গিয়ে আবার বাম দিকে বেঁকে গেছে । ওখানে রয়েছে একটি কালি মন্দির। ওই চক থেকে বাম দিকে মূল রাস্তা না ধরে সোজা যে পাকা রাস্তা চলে গেছে সেই রাস্তা দিয়ে আপনি যেতে পারবেন ঘাগরা জলপ্রপাত ,তারাফেনী জলাধার। তারা ফেনী ড্যাম পাড় হয়ে বাম দিকের রাস্তা ধরে এগোলে জামবনী - বড়শোল - নেকড়াআচড়া - তালপুকুরিয়া - মধুপুর হয়ে ভুলাভেদা। কিংবা তাল পুকুরিয়া থেকে বাম দিকে সিন্দুরিয়া এর রাস্তা ধরলে সোজা সিন্দুরিয়া। ।এই দুই জায়গাতেই আপনি আবার রাজ্য সড়ক ৫ পেয়ে যাবেন। এই রাস্তার দু পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোরম।
৩. বেলপাহাড়ী - অদলচুয়া - চিড়াকুটি - সিংহাডুবা - কাকড়াঝোর রোড :
এই একটা রাস্তা। এই একটা রাস্তাতেই আপনি দিনের পর দিন বেলপাহাড়ী র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখে কাটিয়ে দিতে পারেন । উল্লেখ্য যোগ্য পর্যটন স্থান গুলোতে না গিয়েই। ইন্দিরা চক ,কালি মন্দির চক পার হয়ে ৫ নং রাজ্য সড়ক ধরে এগোলে ডান দিকে বেলপাহাড়ী এস সি হাই স্কুল রেখে ১০০ মিটার গেলেই চেক পোস্ট, ওখান থেকে বাম দিকে প্রথম যে পাকা রাস্তা পাবেন ,ওটাই এই বিখ্যাত রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে সাধারণ পর্যটক রা ঢাঙ্গিকুসুম - কেটকি ঝর্না কাকড়াঝোর গিয়ে থাকেন। প্রায় ২২ কিমি দীর্ঘ এই পথ । এই পথের ডান দিকে বাম দিকে রয়েছে অসংখ্য রাস্তা, জঙ্গল ,টিলা ,পাহাড়। যেখানে ইচ্ছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ডান দিকে কিংবা বাম দিকের যেকোন টিলা বা পাহাড়ে উঠে যান। সারা দিন বেল পাহাড়ী ঘুরেও যে সব অনির্বচনীয় প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার চক্ষু গোচর হবে না,নিশ্চিত ভাবে এই পাহাড় টিলা থেকে সেই সব দৃশ্য পট আপনার চোখে ধরা দেবেই দেবে।
এই পথে ৩ কিমি এগোলেই বাম দিকে পড়বে গাঢ়পাহাড় ,আর ডান দিকে চাতন ডুংরি । তারপর বদাডিহি মোড়। দুর্জন সিংহের অবয়ব।বাম দিকে গেছে শিমুল পাল, লবনি, পাথর চাকরি ,জামাই মারি ....গোটাশিলা হয়ে ধলভূমগড় যাওয়ার রাস্তা।
বদাডিহি থেকে অদল চুয়ার দিকে এগোলে টুয়ার ডুংরি, পিতি ডুংরি . এর পর নটা চুয়া, কুসুম ডাঙা , বালি চুয়া গ্রাম। এর পর ক্ষুদি মহুলি গ্রাম।বাম দিকে পাহাড়। এই রাস্তায় কাকড়াঝর পর্যন্ত যে সকল উল্লেখ যোগ্য গ্রাম পড়বে সেই গুলো হলো মহুলবনী, জরক ডাঙা , কদপুরা , বদাডিহি , নটা চুয়া , বালিচুয়া , অদলচুয়া, চিড়া কুটি, বাঁশ পাহাড়ী, সিংহা ডুবা, শুশনিজবি, বুড়িঝোর, কদম ডিহা, মকুর ভুলা ,সাত বাকি ।
(ক্রমশ)
বেলপাহাড়ী: কোন রাস্তা কোন দিকে গেছে??
পর্ব - ১
@ বিচিত্র গুপ্ত
যায় হোক, চারচাকা নিয়ে কিংবা বাইক নিয়ে তো বেলপাহাড়ী পৌঁছে গেলেন। কিংবা বেল পাহাড়ীর বিখ্যাত ল্যান্ড মার্ক ইন্দিরা চক পৌঁছে গেলেন। এইবার কি করবেন। আপনার যাত্রা পথে অসংখ্য পাকা রাস্তা কিংবা মোরাম রাস্তা ডান দিকে বাম দিকে চলে গেছে ।কোন রাস্তা আসলে কোথায় গিয়ে মিশেছে বা কোথায় গেছে এটা বুঝতে কিংবা সিধ্যান্ত নিতে একটু কনফিউজড হয়ে যেতে হয়। ঝাড়গ্রাম পিছনে রেখে আপনি সামনের দিকে এগোলো ডান দিকের কিংবা বাম দিকের যে কোন রাস্তা দিয়ে বেলপাহাড়ির যে কোন উল্লেখযোগ্য পর্যটন স্থলে পৌঁছনো যায়। এই টুকু মনে রাখলেই হবে। কোন পথ একটু ঘুরে ,আবার কোন পথ সোজা সুজি পর্যটন স্থানে আপনাকে নিয়ে যাবে। সুতরাং চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। এইটুকু মনে রাখতে হবে ।ঘুরপথে পর্যটন স্থানে যাওয়ার যে সব রাস্তা ,সব রাস্তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই এটাও বলা যেতে পারে।
সুতরাং চিন্তিত না হয়ে , যেকোন রাস্তা দিয়ে আপনি আপনার বেলপাহাড়ি র অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আপনি উপভোগ করতে পারেন।
তাহলে আসুন। বেশ কয়েকটা গুরুত্ব পূর্ন রাস্তা চিনে নেওয়া যাক।
১. বেলপাহাড়ী - চাকুলিয়া রোড :
বেলপাহাড়ী ইন্দিরা চক থেকে বাম দিকে , কাঁচা লংকা ফ্যামিলি রেস্টুরেন্ট এর সামনে দিয়ে যে পাকা রাস্তা চলে গেছে ,সেই রাস্তা আসলে ঝাড়খন্ড এর চাকুলিয়া চলে গেছে। এই রাস্তা দিয়ে গেলে আপনি কেন্দা পাড়াতে অবস্থিত হাঁসা ডুংরি ( শ্বেত পাথরের পাহাড়) , গজ ডুংরি , কানাইসর পাহাড়, পবন (চিতি) পাহাড়, রঙিন পাহাড় , ঢাঙ্গিকুসুম , কেটকী ঝর্না সহ যেকোন জায়গায় পৌঁছনো যাবে। বলেরো,স্কর্পিও কিংবা উচু চাকার গাড়ি হলে খুব ভালো।সব থেকে ভালো হয় বাইক।
২. বেলপাহাড়ী কালি মন্দির চক থেকে বৈষ্ণবপুর - তারাফেনী - জাম্বনি - রোড :
বেলপাহাড়ী ইন্দিরা চক থেকে একটু এগোলে মূল( ৫ নং রাজ্য সড়ক) রাস্তা ডান দিকে বেকে ১৫০ মিটার পর্যন্ত গিয়ে আবার বাম দিকে বেঁকে গেছে । ওখানে রয়েছে একটি কালি মন্দির। ওই চক থেকে বাম দিকে মূল রাস্তা না ধরে সোজা যে পাকা রাস্তা চলে গেছে সেই রাস্তা দিয়ে আপনি যেতে পারবেন ঘাগরা জলপ্রপাত ,তারাফেনী জলাধার। তারা ফেনী ড্যাম পাড় হয়ে বাম দিকের রাস্তা ধরে এগোলে জামবনী - বড়শোল - নেকড়াআচড়া - তালপুকুরিয়া - মধুপুর হয়ে ভুলাভেদা। কিংবা তাল পুকুরিয়া থেকে বাম দিকে সিন্দুরিয়া এর রাস্তা ধরলে সোজা সিন্দুরিয়া। ।এই দুই জায়গাতেই আপনি আবার রাজ্য সড়ক ৫ পেয়ে যাবেন। এই রাস্তার দু পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোরম।
৩. বেলপাহাড়ী - অদলচুয়া - চিড়াকুটি - সিংহাডুবা - কাকড়াঝোর রোড :
এই একটা রাস্তা। এই একটা রাস্তাতেই আপনি দিনের পর দিন বেলপাহাড়ী র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখে কাটিয়ে দিতে পারেন । উল্লেখ্য যোগ্য পর্যটন স্থান গুলোতে না গিয়েই। ইন্দিরা চক ,কালি মন্দির চক পার হয়ে ৫ নং রাজ্য সড়ক ধরে এগোলে ডান দিকে বেলপাহাড়ী এস সি হাই স্কুল রেখে ১০০ মিটার গেলেই চেক পোস্ট, ওখান থেকে বাম দিকে প্রথম যে পাকা রাস্তা পাবেন ,ওটাই এই বিখ্যাত রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে সাধারণ পর্যটক রা ঢাঙ্গিকুসুম - কেটকি ঝর্না কাকড়াঝোর গিয়ে থাকেন। প্রায় ২২ কিমি দীর্ঘ এই পথ । এই পথের ডান দিকে বাম দিকে রয়েছে অসংখ্য রাস্তা, জঙ্গল ,টিলা ,পাহাড়। যেখানে ইচ্ছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ডান দিকে কিংবা বাম দিকের যেকোন টিলা বা পাহাড়ে উঠে যান। সারা দিন বেল পাহাড়ী ঘুরেও যে সব অনির্বচনীয় প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার চক্ষু গোচর হবে না,নিশ্চিত ভাবে এই পাহাড় টিলা থেকে সেই সব দৃশ্য পট আপনার চোখে ধরা দেবেই দেবে।
এই পথে ৩ কিমি এগোলেই বাম দিকে পড়বে গাঢ়পাহাড় ,আর ডান দিকে চাতন ডুংরি । তারপর বদাডিহি মোড়। দুর্জন সিংহের অবয়ব।বাম দিকে গেছে শিমুল পাল, লবনি, পাথর চাকরি ,জামাই মারি ....গোটাশিলা হয়ে ধলভূমগড় যাওয়ার রাস্তা।
বদাডিহি থেকে অদল চুয়ার দিকে এগোলে টুয়ার ডুংরি, পিতি ডুংরি . এর পর নটা চুয়া, কুসুম ডাঙা , বালি চুয়া গ্রাম। এর পর ক্ষুদি মহুলি গ্রাম।বাম দিকে পাহাড়। এই রাস্তায় কাকড়াঝর পর্যন্ত যে সকল উল্লেখ যোগ্য গ্রাম পড়বে সেই গুলো হলো মহুলবনী, জরক ডাঙা , কদপুরা , বদাডিহি , নটা চুয়া , বালিচুয়া , অদলচুয়া, চিড়া কুটি, বাঁশ পাহাড়ী, সিংহা ডুবা, শুশনিজবি, বুড়িঝোর, কদম ডিহা, মকুর ভুলা ,সাত বাকি ।
(ক্রমশ)
Comments